ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla


Read More>>মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়

ডায়বেটিস হচ্ছে একটি বিপাকজনিত রোগ। আমাদের শরীরের সব সময় একটি ইনসুলেন্স নামক হরমোন থাকে এটা যদি পরিমাণ কমে যায় তখন বিভিন্ন ধরনের বিপাকীয় ত্রুটি দেখা দেয় এবং এগুলোর জন্য শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় এটা কেই আমরা ডায়াবেটিস বলে থাকি। অনেক সময় দেখা যায় ডায়াবেটিস বংশগত হয়ে থাকে। সাধারণত খালি পেটে  ব্লাডে গ্লুকোজের পরিমাণ 7 পয়েন্ট অথবা এর বেশি হয়ে থাকে এবং ভরা পেটে যদি ব্লাডে গ্লুকোজের পরিমাণ যদি এগারো পয়েন্টের বেশি আসে অথবা তিন মাসের গড় ডায়াবেটিস যদি ৭% এর বেশি হয় তাহলে সাধারণত ডায়াবেটিস বলে গণ্য করা হয়। ডায়াবেটিস সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে যেমনঃ-   টাইপ 1 ডায়াবেটিস এবং টাইপ টু ডায়াবেটিস। এর পাশাপাশি আরো দুই ধরনের ডায়াবেটিস রয়েছে যেমন: প্রেগনেন্সির সময় ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য রোগের কারণে যে ডায়াবেটিস ।


 টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসঃ-  

যে  ডায়াবেটিসকে সাধারণত ইনসুলেন্স দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় তাকে টাইপ 1 ডায়াবেটিস বলে। 

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

Read More>>খুব তাড়াতাড়ি চিকন হওয়ার উপায়

 টাইপ টু ডায়াবেটিসঃ-

 টাইপ টু ডায়াবেটিস হলে আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবন থেকে  নিয়ন্ত্রণে জীবনটাকে  নিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি আমাদের খাদ্যাভ্যাসকে সুন্দর একটা অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। এভাবে আমাদের ডায়াবেটিসকে কন্ট্রোলে রাখতে পারব। টাইপ টু  ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকে 95 শতাংশ মানুষ। 

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

Read More>>নাকের কালো দাগ দূর করার উপায় 

ডায়াবেটিসের লক্ষণঃ-

১) গলা শুকিয়ে যাওয়া।

২) ঘন ঘন প্রসাব  করা।

৩) ঘন ঘন পানির পিপাসা লাগা।

৪) ওজন কমে যাওয়া।

৫) ওজন বেড়ে যাওয়া।

৬) ঘুম কম হওয়া।

৭)  শরীরে জ্বালাপোড়া হওয়া।

8)  শরীরে অস্থির ভাব হওয়া। 

৯) শরীরে ঘা না শুকানো।

১০) প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া করা।

১১)মাথা ব্যথা করা।

১২) মুখমন্ডল ভারী হয়ে যাওয়া অথবা ফুলে যাওয়া।

১৩) কোমরের নিচের দিকে ওজন বেড়ে যাওয়া

১৪) চোখে ঝাপসা দেখা।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়ঃ-

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

কোথায় আছে আহারে বাহারে বাঙালিয়ানা ।বাহার কথাটা কতটা সত্যি জানা নেই তবে আহার তো বটেই। তা না হলে অনেক মানুষ  কে দেখা যায় যারা হাই লেভেল সুগার নিয়েও দিব্যি রসগোল্লা,  মিষ্টি খেয়ে সাবাড় করে ফেলছেন। আমাদের অনেকেরই কোনো ধারনাই নেই যে ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হতে পারে। রক্তের সুগার লেভেল  মাত্রাছাড়া লে আপনার শরীরের সমস্ত আভ্যন্তরীণ  বাহ্যিক অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সাথে সমস্ত কলা কোষ ক্ষতিগ্রস্ত তো হবেই। আপনার রক্তের সুগার যত বেশি হবে এবং যতদিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে শরীরের সমস্ত  কোষের ক্ষতির হার ততই বাড়বে। ডায়াবেটিস হলে আমাদের শরীরের যে ক্ষতিগুলো হতে পারে সেগুলো হচ্ছে।যেমনঃ

১)হূদরোগ এর সম্ভাবনা।

২)হার্ট অ্যাটাক এর সম্ভাবনা।

৩)স্ট্রোকের সম্ভাবনা।

৪)কিডনি ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনা।

৫)কানে কম শোনা।

৬)ঘা  না শুকানো।

৭) শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে পচন ধরা।

৮)হাত পা  ঝিনঝিন করা।

৯) চোখে ঝাপসা দেখা এবং

১০) অন্ধত্বের সৃষ্টি হওয়া।

রক্তে সুগারের মাত্রা ছড়ালে হূদরোগ, হার্ট অ্যাটাক, এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি থাকে। ডায়াবেটিসের সরাসরি মৃত্যু না হলেও আরও বড় কিছু  মৃত্যুর পরোয়ানা ডেকে আনে। টাইপ ওয়ান এবং টাইপ  টু ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে খুবই মারাত্মক ও খুব সাধারন একটি সমস্যা হল ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি এটি একটি  স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি জনিত রোগ যা ধীরে ধীরে ছড়ায় এমনকি 10 থেকে কুড়ি বছর ধরে হতে পারে। ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি শুরু হয় হাত ও পায়ের পাতা ঝিনঝিন করা ব্যথা ও দুর্বলতা থেকে এরকম হলে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই কথা বলা উচিত। ডাক্তার না দেখালে এই অবস্থা মাত্রাছাড়াবে ব্যথা অনুভব করা যাবে না, কিন্তু পায়ে মারাত্মক ঘা ছড়াবে ক্ষত হলে সহজে ভালো হবে না। কিছু ক্ষেত্রে এমন হয়ে থাকে যে হাত-পা কেটে বাদ দিতে হয়। ডায়াবেটিস হলে আর একটি মারাত্মক রোগের সম্ভাবনা বেশি সেটি হল ডায়াবেটিস নেত্র প্যাথি এটি একটি কিডনি ডিজিজ যা ধীরে ধীরে  ছড়ায় কিন্তু প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ না নিলে মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত। কিডনি ফেল এর পিছনে 40 শতাংশের বেশি ডায়াবেটিস দায়ী। যদি আপনার শরীরে দীর্ঘদিন ধরে রক্তে সুগারের পরিমাণ বেশি থাকে  কিন্তু নিয়ন্ত্রণের কোন চেষ্টাই করছেন না তাহলে আমাদের শরীরের রক্ত জালিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয় চোখে ঝাপসা দেখা থেকে শুরু করে অন্ধত্ব ডেকে আনে। অন্ধত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে রেটিনোপ্যাথি ।আপনার শরীরে দীর্ঘদিন ধরে রক্তের সুগারের চাপ বেশী থাকলে কানে শোনার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে  পারে। কিছু  ক্ষেত্রে দেখা যায় যাদের ডায়াবেটিস সমস্যা আছে তাদের ডিপ্রেশন বেড়ে যায়। তাছাড়া উল্টোও হতে পারে যাদের ডিপ্রেশন বেশি তাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা বেশি থাকে। ডায়াবেটিস শরীরে দীর্ঘদিন থাকলে  সেই রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা কিছু মনে রাখতে পারে না খুব সহজেই ভুলে যায় এবং চিন্তা করতে সমস্যা হয়।  কথা বলতে সমস্যা হয়, সবকিছুতে একটা কনফিউশন  থাকে, এরকম কিছু হলে আপনাকে ডাক্তারের সাথে খুব তাড়াতাড়ি কথা বলতে হবে। ডায়াবেটিস জ্বর সর্দির মত কোন সাধারণ রোগ নয় রক্তের সুগার বাড়লে সময় নষ্ট না করে আমরা খুব দ্রুতই ডাক্তারের পরামর্শ নিব এবং সুগার কমানোর চেষ্টা করব। 

ডায়াবেটিস হলে কি কি খাওয়া যাবে নাঃ-

আমরা আজকে জানবো  ডায়াবেটিস হলে কোন খাবার খাওয়া যাবে না। শরীর যখন রক্তের চিনিকে অথবা গুলোকে ভাঙতে ব্যর্থ হচ্ছে তখন আমাদের শরীরে ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস একবার হওয়ার পরে আমরা যদি কিছু নিয়ম মেনে  চলি তাহলে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। কিন্তু আমরা এতটাই অসচেতন আমরা কোন ধরনের কোন নিয়ম না মেনে সাধারণ কিছু ঔষধ গ্রহন করছি এবং ইন্সুলেন্স এর মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা  করি কিন্তু যেটা সবথেকে আগে করা উচিত সেটা হল  কিছু নিয়ম মেনে চলা। আমরা নিয়ম না মেনে চিন্তা করি সারাজীবন ঔষধ আমাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখবে। চিনি আমাদের শরীরে কাজ করে শক্তি অথবা জ্বালানি  হিসেবে। চিনি এবং গ্লুকোজ আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।  কিন্তু শরীরে যখন চিনির পরিমাণ বেশি হয়ে যায় তখন  ডায়াবেটিস দেখা দেয়। ডায়াবেটিস হলে যে খাবারগুলো খাওয়া যাবেনা সেগুলো হচ্ছে।


১) আলুঃ-আলুতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় শ্বেতসার ও গ্লাইসেমিক উপাদান। আর গ্লাইসেমিক উপাদান হচ্ছে যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

২)ভুট্টাঃ-ভুট্টা কে মিষ্টি জাতীয় সবজি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদিও এতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল ও  খাদ্য-আঁশ কিন্তু এটি বেশি পরিমাণ খেলে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়।  তাই ভুট্টা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

৩ )সাদা আটাঃ-সাদা আটা অথবা খোসা ছাড়ানো গম। উচ্চ প্রকিয়া জাতীয় সাদা আটা দ্রুত শক্তি যোগালেও অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাতের কারণে পুষ্টি উপাদান একদম কমে যায়। তাই এ কারণে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে। 

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

৪)সাদা চালঃ-সাদা চালে আছে উচ্চমাত্রায় শ্বেতসার সমৃদ্ধ। সাদা  চালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে  শর্করা তাই  সাদা চালের ভাত প্রচুর পরিমাণে খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

৫)মাংসঃ-মাংসের ভিতরে লাল মাংস কে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমনঃ গরুর মাংস, খাসির  মাংস,  ভেড়ার মাংস, মহিষের  মাংস, হাঁসের  মাংস, এ ধরনের মাংস উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় ডায়াবেটিস বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। 

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

৭)ফলের জুসঃ-আমরা জানি ডায়াবেটিসে ফল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু ফলের জুস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কারণ ফলের জুসে ফাইবার থাকে না আর ফলের জুসে যদি চিনি মেশানো হয় এবং এই  ফলের জুস আমরা সেবন করলে  ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

Read More>>১ মাসে চুল লম্বা করার উপায়

৮)সফট  ড্রিঙ্কঃ-যেকোনো ধরনের এনার্জি ড্রিংকে  কৃত্রিম মাত্রায় মিষ্টি দ্রব্য ও  ক্যাফিন দেওয়া হয়  যা আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

ডায়াবেটিস হলে কি কি খাওয়া যাবেঃ-

ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ঠিকমতো ডায়েট ফলো করা বা খাদ্য তালিকা মেনে চলা তার চিকিৎসার একটি অন্যতম অঙ্গ। আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই সেগুলো কয়েকটি ভাগে বিভক্ত। তার মধ্যে একটি হলো কার্বোহাইড্রেট ।

কার্বোহাইড্রেটঃ-

কার্বোহাইড্রেট খেলে আমাদের শরীরে এনার্জি তৈরি হয় অর্থাৎ  ক্যালোরি জেনারেট হয়।ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট এর নিয়ম মেনে একটি ডায়েট চার্ট দেওয়া হয়।আমাদের শরীরে কার্বোহাইড্রেট কতটা  কনজিউম  করে সেটার উপরে ক্যালরি অনেকটাই নির্ভর করে। 

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

প্রোটিনঃ-আমরা  জানি প্রোটিনের কাজ হচ্ছে  মাংসপেশীর পুষ্টি।

ডিমঃ-উচ্চমানের প্রোটিনসমৃদ্ধ প্রথম খাবারটি হল ডিম।  মাত্র একটি ডিমে আছে  6 গ্রাম প্রোটিন।9 প্রকারের গুরুত্বপূর্ণ  অ্যামিনো এসিড, ওমেগা থ্রি থার্টি এসিড, ভিটামিন  এ, আয়রন এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায়। দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য প্রতিদিন একটি সেদ্ধ ডিম অথবা ওমলেট অবশ্যই আমাদের খেতে হবে। 

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

অঙ্কুরিত ছোলাঃ-অঙ্কুরিত ছোলায় আছে  প্রোটিন, ভিটামিন  এ, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন  সি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন  ই,   ক্যালসিয়াম,  পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রন পাওয়া যায়। শরীরের দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য সপ্তাহে অন্তত তিনদিন অঙ্কুরিত ছোলা  খেতে হবে।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

মুরগির মাংসঃমুরগির মাংসের আছে  প্রোটিন, 9 প্রকারের অ্যামিনো  এসিড, এবং ভিটামিন  বি পাওয়া যায়। আমাদের শরীরের দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য সপ্তাহে অন্তত 3 দিন মুরগির মাংস খাওয়া উচিত।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

চিনাবাদামঃ-আমাদের শরীরের প্রোটিনের অভাব দূর করার জন্য চিনাবাদাম অন্যতম একটি ভূমিকা রাখে। চিনাবাদামে আছে ক্যালসিয়াম,  প্রোটিন, ভিটামিন ই ,আয়রন,  পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক পাওয়া যায়। দৈনিক শরীরের প্রোটিনের  চাহিদা পূরণ করার জন্য আমরা সপ্তাহে চারদিন এক মুঠো করে বাদাম খেতে পারি।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

ব্রোকলিঃ-ব্রোকলি হচ্ছে একটি সবজি। ব্রোকলি তে আছে প্রোটিন, আয়রন, সালফার, ভিটামিন সি। প্রোটিনের অভাব পূরণ করার জন্য সপ্তাহে দুদিন ব্রোকলি সিদ্ধ খান ।এতে আমাদের শরীরে প্রোটিনের অভাব পূরণ হবে।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

সয়াবিনঃ-সয়াবিনে আছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং উচ্চমানের  ডায়েট ফাইবার পাওয়া যায়।দৈনিক শরীরের চাহিদা পূরণ করার জন্য আমরা সয়াবিন দানা অথবা সয়াবিনের বরি সিদ্ধ করে খেতে  পারি।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

কাঠবাদামঃ-কাঠ বাদামে আছে  প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালসিয়াম,  আয়রন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটিঅ্যাসিড, কপার এবং  সিভি নিয়ম পাওয়া যায়। দৈনিক শরীরের চাহিদা পূরণ করার জন্য প্রতিদিন 8 থেকে 10 পিচ কাঠবাদাম অবশ্যই খান।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

Read More>>কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা

কাজুবাদামঃ-কাজু বাদামে আছে প্রোটিন, ভিটামিনএ, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড,পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম আছে তাই আমরা শরীরের দৈহিক চাহিদা পূরণ করার জন্য তিনটি কাজুবাদাম অবশ্যই খান।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

দুধঃ-আমরা জানি গরুর দুধ আমাদের শরীরের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করার জন্য  গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। দুধ আছে ক্যালসিয়াম,ও, প্রোটিন। আমাদের শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে দ্রুত মাংসপেশিকে বৃদ্ধি করে। 

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

মাশরুমঃমাশরুমে আছে উচ্চ মানের ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং জিংক দৈহিক ওজন বৃদ্ধি করতে এবং আকর্ষণীয় ফিট চেহারা পেতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

শাকসবজিঃ-শাকসবজি আমাদের শরীরের ফাইবার ক্যাটাগরিতে পরে। ফাইবার হচ্ছে এমন একটি জিনিস যা আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করার পর পাচন ক্রিয়া খুব ধীরে ধীরে হয়। যার ফলে সুগার বাঁড়ার যে প্রবণতা এটি খুব কম হয় এবং এটা পেটের ভিতরে গিয়ে পানি শোষণ করে। যার ফলে আমাদের খিদে খুব দ্রুত মিটে যায়। এবং সুগার বাড়ে  কমে।

তাই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই শাকসবজি রাখা প্রয়োজন।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

সালাদঃ- আমরা সবাই জানি সালাদের মধ্যে থাকে  শসা,  গাজর,  টমেটো, পিয়াজ , মরিচ , লেটুস পাতা ,এবং আমরা  চাইলে বিভিন্ন ধরনের ফল মেশাতে  পারি ।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

শসাঃ- শসা  এমন একটি উপাদান যার উপকারিতা বলে কখনো শেষ করা যাবেনা। শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে যার ফলে আমাদের শরীরে হাইড্রেশন মেনটেন করে । এছাড়া শসা তে রয়েছে ভিটামিন এ , ভিটামিন বি 6 , ভিটামিন সি , ভিটামিন ডি , ক্যালসিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম , এবং পটাশিয়াম। শসা  ডায়েটে  সাহায্য করে ।  শরীর থেকে টক্সিন রিমুভ করে। কোলেস্টেরল কমায় এবং সেইসাথে   হার্টের ঝুঁকি কমায় ।শসা  আমাদের শরীরের ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  আমাদের শরীরে টেম্পারেচার  রেগুলেটর করে, ব্লাড প্রেসার রেগুলেট করে । শসা আমাদের  রূপচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শসা ব্যবহারে আমাদের মুখের কালো দাগ দূর হয়। আমাদের শরীরের উপকারের জন্য প্রতিদিন একটি হলো শসা খাওয়া উচিত।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

গাজরঃ -গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন  যা আমাদের  শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাছাড়া  এতে রয়েছে ফাইবার ,ভিটামিন কে ওয়ান , পটাশিয়াম , এবং এন্টি অক্সিডেন্ট। আপনারা যারা ওজন কমাতে চান তারা প্রতিদিন একটি করে হলেও  গাজর খাবেন। কারণ গাজর আমাদের শরীরের  কোলেস্টরেল  মাত্রা কমায়।  গাজর আমাদের চোখের জ্যোতি বাড়ে। প্রতিদিন গাজর খেলে কিডনি ভালো থাকে, লিভার ভালো থাকে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla


টমেটোঃ- টমেটো ব্লাড প্রেসার এবং রক্তে খারাপ  কোলেস্টরেল দূর করে এবং সেই সাথে আমাদের  হার্টকে ভালো রাখে। টমেটো ওজন কমাতে সাহায্য করে। টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন সি , ভিটামিন ই  ,মিনারেলস , এন্টি অক্সিডেন্ট , পটাশিয়াম , ইত্যাদি। টমেটো মাইগ্রেন এবং ডায়াবেটিসের জন্য খুবই উপকারী একটি উপকরণ। টমেটো খেলে ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া  যায়। টমেটো আমাদের ডায়েটের সাহায্য করে। টমেটো আমাদের স্কিনে ব্রাইটনেস  বাড়ায় ।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

পিয়াজঃ পিয়াজ আমাদের শরীর থেকে  খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে এবং ভালো কোলেস্টরেল কে সাহায্য করে। এভাবে পিয়াজ আমাদের শরীরকে  করোনারি আটারি  ডিজেজ থেকে রক্ষা করে। পেঁয়াজের রস মাথায় অথবা চুলে দিলে  চুল পড়া কমে এবং চুল লম্বা হয় ।  পিয়াজের  অন্যতম একটি উপকারিতা হচ্ছে এটি আমাদের শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে দেয় যার ফলে ডায়াবেটিস কন্ট্রোল  হয় । পিয়াজ আমাদের খাবার হজমে সাহায্য করে।  পিয়াজ আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

মরিচঃ আমরা জানি শুকনো মরিচের আছে ভিটামিন এ এবং কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন সি। মরিচ আমাদের শরীরে ডায়াবেটিস , এবং স্টোমাক আলসার ভালো করে , এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। মরিচের আমাদের শরীরে ইনফেকশন থেকে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সুস্থ জীবন যাপন করতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

লেটুস পাতাঃ আমরা জানি লেটুস পাতা আমাদের বিভিন্ন খাবারের থালা পরিবেশের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে এবং আমাদের শরীরে বিভিন্ন  ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। লেটুসপাতা রয়েছে ভিটামিন , ফাইবার , মিনারেলস  এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এতে বদহজম দূর করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় । সবশেষে আমরা বলতে পারি সালাদ আমাদের শরীরের জন্য একটি কমপ্লিট খাবার।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

টক দইঃ আমরা জানি গরমে শরীরকে শীতল রাখতে টক দই এর কোন বিকল্প নেই। টক দই এ আছে ক্যালোরি ,ফ্যাট , কার্বোহাইড্রেট , প্রোটিন , ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম। আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া আছে এগুলার ভিতর কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়া এবং কিছু খারাপ ব্যাকটেরিয়া টক দই খেলে শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় এবং খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে দূর করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। টক দই আমাদের হজম ক্ষমতা বাড়ায়। টক দই শরীরের ইনফেকশন কে কমায়। টক দই শরীরের হার এবং দাঁতকে মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা  রাখে। মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে টক দই। টক দই ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ টক দই শরীরে ফ্যাট জমতে দেয়না। টক দই ব্লাডের  কোলেস্টরেল কে কমায়। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয় টক দই। ত্বক এবং চুলকে ভালো রাখে টক  দই। উচ্চ রক্তচাপ কমায় টক দই এবং আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে টক দই। তাই আমরা প্রতিদিনের ডায়েট চার্টে এক কাপ পরিমাণ টক দই রাখলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাবো । 

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়ঃ-

ডায়াবেটিস যেটা নাম শুনলেই ভয় হয়। তবে গবেষণায় দেখা যায় খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণে রাখলে ঠেকানো সম্ভব ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য খাবারের তালিকা কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম রেখে মৌসুমী ফল ও সবজি রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিজ্ঞানীরা । শরীর সুস্থ রাখার জন্য দরকার  পরিমাণমতো খাদ্য। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তো কথাই নেই। প্রতিদিনের খাবারে আমরা যদি ক্যালরির পরিমাণ খুবই সীমিত রাখে নিয়ম করে খেতে হবে আমিষ এবং চর্বি জাতীয় খাবার এবং খেতে হবে ফাইবার যুক্ত খাবার। বিভিন্ন সবজির মিশ্রণের  তৈরি খাবারের পাশাপাশি প্রতিদিন রাখতে হবে ফল । তাই ডায়াবেটিস কে ভয় না পেয়ে খাবারে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদ গন । খাবারের পাশাপাশি আমাদের প্রতিনিয়ত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে তাহলে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া স্বপ্ন নয় সত্যি আমরা একটু সতর্ক হলেই ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি  পাব। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য সকালের নাস্তায় আমরা অ্যালোভেরা জেল, তোকমা , ইসবগুলের ভুষির শরবত খেতে পারি চিনি না নিয়ে। আমরা প্রতিদিনের খাবারে  ডিম , দুধ , টক দই , শাকসবজি , মাছ মাংস , শসা , বাদাম , ফল , সামুদ্রিক মাছ , মাছের ডিম , মিক্স সালাদ , মিক্স সবজি ইত্যাদি ক্যালরির পরিমাণ খুব সীমিত রেখে প্রতিনিয়ত আমরা এসব খাবার খেলে ডায়াবেটিস ভালো হয়ে যাবে।

ডায়াবেটিসে কি কি ফল খাওয়া যাবেঃ-

ডায়াবেটিস হলে সব ধরনের ফল খাওয়া যাবে না এ ধারণাটি যেমন ভুল ঠিক তেমনি ফলে থাকা মিষ্টি ডায়াবেটিস বাড়ায় না এই ধারনাটা ভুল। বেশিরভাগ ফলে মিষ্টি থাকে যার ফলে আমাদের শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এগুলোমিষ্টি জাতীয় ফল বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবেনা। কিন্তু  ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন , ফাইবার তাই ডায়াবেটিস রোগীরা ফল খেতে পারবে কিন্তু কিছু নিয়ম মেনে । ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লো  জি আই ফ্রুট বেছে নিতে হবে। যেমনঃ


আপেলঃ- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রথম যে ফলটি বাছাই করা হয় সেটি হলো আপেল তবে সবুজ আপেল  ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে ভালো। আপেল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য খুব ভালো ভূমিকা রাখে।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

পেয়ারাঃ- পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যেটা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুব উপকারী। 

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

কমলাঃআমরা জানি কমলা গাছের ভিটামিন সি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভিটামিন খাওয়া প্রয়োজন। আমেরিকা কমলা কে বলা হয় ডায়াবেটিস সুপার ফ্রুট। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কমলা খুব  উপকারী ।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

ডায়াবেটিসে মধু খাওয়া যাবে কিঃ-

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়/ Diabetes Control Tips Bangla

মধুর উপকারিতা কোন শেষ নেই। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে প্রথমে দেখতে হবে মধু খাওয়ার পরে  তার ডায়াবেটিস বাড়ে কিনা তবে বেশি পরিমাণে মধু খাওয়া যাবে না। ডায়াবেটিস রোগীরা সকালে গরম পানিতে মধু খেতে পারে  তবে ফুটন্ত গরম পানি নয় কুসুম গরম পানি খেতে হবে তাহলে আমাদের শরীরের চর্বি কাটবে। আমরা ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য চায়ের সাথে এবং দুধের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারি কিন্তু সবগুলোই কুসুম গরম হতে হবে। ফুটন্ত গরম জিনিস ব্যবহার করলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে  যাবে।মধু খাওয়ার আসল নিয়ম হলো সকালে বা রাতে। ওজন কমাতে কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর রস মিলিয়ে এবং মধু মিলিয়ে খেতে পারি। মধু সেবন করার ফলে শরীরের খারাপ কোলেস্টরেল নষ্ট হয় এবং ভালো  কোলেস্টরেল তৈরি হয়। হার্ট ভালো থাকবে এবং ওজন ধীরে ধীরে কমবে। মধু কষ্টকাঠিন্যতা দূর করে এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।  মধু বদহজম থেকে মুক্তি দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য ,  গ্যাসের সমস্যা , হজমের সমস্যা হলে কখনো লেবুর সাথে মধু মিশিয়ে খাবেন না কারণ এতে সমস্যা আরো বাড়বে। কাজে কখন কিভাবে আমরা  মধু খাচ্ছি সেদিকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। মধু আমাদের  রূপচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং চুলের সিল্কি ভাব ফিরিয়ে আনতে  সাহায্য করে। শীতকালে অবশ্যই মধু খাওয়া প্রয়োজন।  ডায়াবেটিস রোগীরা মধুর সাথে কালোজিরা এবং তুলসী পাতা মিক্স করে খেতে পারেন। কাটা জায়গায় আমরা মধু লাগাতে পারি কারণ মধু এন্টিবায়োটিকের কাজ করে। মধুর গুনাগুন এর কোনো শেষ নেই ডায়াবেটিস রোগীরা মধু খেতে পারবে কিন্তু মধু হতে হবে  খাঁটি । 


তবে ডায়াবেটিস হলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ