রোজার ডায়েট চার্ট/ Diet Chart For Ramadan In Bangla
|
রোজার ডায়েট চার্ট/ Diet Chart For Ramadan In Bangla |
যারা যারা একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বা কোন নির্দিষ্ট ডায়েট প্ল্যান মেনে চলে তাদের সকলের জন্য রোজার সময় সেই একই ডায়েট প্ল্যান বা ডায়েট চার্ট ফলো করা অনেক কষ্টকর হয়ে পরে। যারা রোজা রাখে তাদের তো এমনেতেই সারা দিন না খেয়ে থাকতে হয় যার ফলে অনেকেই মনে করেন যে, এই রোজার মাসে ডায়েট চার্ট অনুযায়ী না চললেও কোন সমস্যা নেই। আমাদের মধ্যে অনেকেই আবার মনে করে যে রমজানের মাসে সারা দিন না খেয়ে থাকার ফলে হয়তো ওজন কমে যাবে। কিন্তু এটা একটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আমরা সাধারনত তিন বেলা খেয়ে থাকি এবং রোজার মাসেও রাতের খাবার, সেহেরি,আর ইফতার মিলিয়ে তিন বেলার কম খাচ্ছি না। তাই ওজন কমার কোন প্রশ্নই আসে না। রমজানে দীর্ঘ সময় ধরে খাবার থেকে দূরে থাকার কারনে ইফতারির সময় ডায়েট চার্টের কথা মাথায় থাকে না।
আর আমাদের দেশে তো ইফতার মানেই হচ্ছে তেলে ভাজা খাবার এই খবারগুলো যেমন একদিকে ওজন বাড়ায় ঠিক তেমনি এসিডিটির কারন হয়ে দাড়ায়। তাই আমাদের অবশ্যই উচিৎ ইফতারিতে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু খাবার রাখা। ঠিক ইফতারির ৩-৪ ঘণ্টা পরেই রাতের খাবারের সময় চলে আসে। ইফতারির পর আমাদের পেট ভরা থাকার পরেও আমরা চিন্তা করি সারাদিন যেহেতু না খেয়েই থাকবো তাই খেয়ে নেওয়াই ভালো। রাতের খাবারের কয়েক ঘণ্টা পর আসে সেহেরি খাওয়ার সময় তখনো আমাদের কিছু না কিছু খাওয়া হয়। এর ফলে আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি হয়। তাই আমরা যাতে রমজানের ৩০ টি রোজা সুস্থ ভাবে পালন করতে পারি তার জন্য আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে ও খাবারের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে এই সময় আমাদের একটু নিয়ম মেনে চলা উচিত যেন সুস্থ এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে রোজা পালন করতে পারি।
রমজানের ডায়েট চার্টঃ-
ইফতারঃ-
খেজুরঃ- ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী খেজুর দিয়ে ইফতারি শুরু করার অভ্যাসটি খুবই ভালো একটি অভ্যাস। কারন খেজুরে থাকে ন্যাশনাল সুগার যা আমাদের সারাদিনের সকল ঘাটতি দ্রুত পুরন করে। এছারাও খেজুরে আছে আঁশ বা ফাইবার আর এর সাথে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ তো আছেই। এই ফাইবার খাবার হজম করতে সাহায্য করে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই ফাইবার যুক্ত খবার অনেক কম খাই খেজুর সেই ফাইবারের অভাব পুরন করে। এছারাও রোজায় যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় এই খেজুর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অনেক সাহায্য করে।
|
রোজার ডায়েট চার্ট/ Diet Chart For Ramadan In Bangla |
পানি বা ডাবের পানিঃ- অনেকেই খেজুর খাওয়ার কিছুক্ষণ পর চিড়ার সরবত বা চিনি দিয়ে বানানো সরবত খেয়ে থাকে। এগুলোর পরিবর্তে বেশি করে পানি পান করাই ভালো। এছাড়া যদি সুযোগ থাকে তাহলে ডাবের পানি পান করাই ভাল।
ডাবের পানিতে রয়েছে পটাশিয়াম যা আমাদের শরীর থেকে নিঃসৃত ঘাম ও পানি না খেয়ে থাকার কারনে যে পানি শূন্যতা দেখা দেয় তা পূরণ করতে সাহায্য করে।
|
রোজার ডায়েট চার্ট/ Diet Chart For Ramadan In Bangla |
ফলের রসঃ- ইফতারিতে আমরা বিভিন্ন ধরনের শরবত এর পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি করা ফলের জুস খেতে পারি। তাছাড়াও জুস তৈরি করার সময় চিনি এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। সাধারনত দোকান থেকে কিনে আনা জুসে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশানো থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই বাড়িতে তৈরি করা জুস খাওয়াই ভাল।
|
রোজার ডায়েট চার্ট/ Diet Chart For Ramadan In Bangla |
ফলমূলঃ- ইফতারিতে যদি আমাদের মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছে করে তবে ফলমূল খাওয়াই সবথেকে ভাল। কারন অতিরিক্ত মিষ্টি যেমন আমাদের ওজন বাড়ায় ঠিক তেমনি বিভিন্ন ধরনের হার্টের রোগ সৃষ্টি করে।
|
রোজার ডায়েট চার্ট/ Diet Chart For Ramadan In Bangla |
ডুবো তেলে ভাজা খবারঃ- ডুবু তেলে ভাজা বিভিন্ন খবার যেমনঃ- পিয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ,জিলিপি ইত্যাদি খাবার অবশ্যই ত্যাগ করা উচিৎ।
এই খাবারগুলো আমাদের সাস্থের জন্য খুবই ক্ষতিকর এইগুলো একদিকে যেমন এসেডিটি বাড়ায় তেমনই ওজনও অনেক বাড়িয়ে দেয়। তাই ডায়েট করতে চাইলে এই খাবারগুলো খাওয়া যাবে না।
|
রোজার ডায়েট চার্ট/ Diet Chart For Ramadan In Bangla |
এছাড়াও ইফতারে টক দই ও চিড়া, মুড়ি ও চিরা,সালাদ,ছোলা সিদ্ধ,ফল,একটা সিদ্ধ ডিম,তরমুজের জুস, ইত্যাদি রাখা যেতে পারে। কারণ এইগুলো যেমন ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে তার পাশাপাশি আমাদের সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে।
|
রোজার ডায়েট চার্ট/ Diet Chart For Ramadan In Bangla |
রাতের খাবারঃ-
ইফতারির পর যদি খুব বেশি প্রয়োজন না হয় বা ক্ষুধা না লাগে তবে রাতে কিছু না খাওয়াই ভালো। আর যদি একান্ত খাবার খাওয়া লাগে তবে ২ টুকরা মাছ/মুরগির মাংশ, ১ টি রুটি, ১ কাপ সবজি,বিভিন্ন ধরনের ফল এবং পরবর্তীতে এক কাপ গ্রিন-টি পান করা যেতে পারে।
|
রোজার ডায়েট চার্ট/ Diet Chart For Ramadan In Bangla |
Read More>>নখ সাদা করার উপায়সেহেরিঃ-
রোজার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে সেহেরি। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা সন্ধ্যা রাতে অনেক বেশি খাবার খেয়ে নেয় আর পরে সেহেরি খেতে চায় না। কিন্তু এই কাজ করা মোটেও ঠিক না এর ফলে আমরা অসুস্থ হয়ে যেতে পারি।
তাই সারা দিন নিজেকে ফিট রাখতে হলে সেহেরিতে পরিমান মতো আয়োডিন, ভিটামিন, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। যেমনঃ- ফল, সবজি সেদ্ধ, সালাদ,টক দই বা দুধ, রুটি বা ভাত,মুরগির মাংস বা মাছ কিংবা ডাল ও ডিমও খাওয়া যেতে পারে।
|
রোজার ডায়েট চার্ট/ Diet Chart For Ramadan In Bangla |
তবে সেহেরি খেয়ে সাথে সাথে বিছানায় শুয়ে না পরে ১৫ মিনিট ব্যায়াম করে তারপর নামাজ পরে বিছানায় সোয়া উচিত।
0 মন্তব্যসমূহ