হরমোন বেশি হলে কি হয়/ Hormone Problems Bangla
|
হরমোন বেশি হলে কি হয়/ Hormone Problems Bangla |
হরমোন কিঃ-
আমাদের সর্বপ্রথম জানা উচিত হরমোন কি। হরমোন হচ্ছে যে জৈব রাসায়নিক তরল বা শরীরের কোন কোষ গ্রন্থি থেকে শরীরের একটি নির্দিষ্ট অঙ্গে নিঃসরিত হয় রক্ত রস কিংবা ব্যাপন প্রক্রিয়া উৎপত্তিস্থল থেকে বাহিত হয়ে দেহের বিভিন্ন বিপাকীয় প্রক্রিয়া গঠন করে তাকে হরমোন বলে। হরমোন প্রথম আবিষ্কার করে ১৯০৫সালে। হরমোন কথার অর্থ হল জাগ্রত করা। হরমোন উদ্ভিদ ও প্রাণী দেহে রাসায়নিক সমন্বয় সাধন করে।
হরমোনের বৈশিষ্ট্যঃ-
হরমোন নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া দেহের অন্য কোথাও সজ্জিত হয় না। হরমোন জীবদেহে রাসায়নিক সমন্বয়কারী অর্থাৎ কেমিক্যাল হিসেবে কাজ করে। ধারাবাহিকভাবে রক্তে হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি অথবা কম থাকলে নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়। হরমোন রাসায়নিক বার্তাবাহক হিসেবে রাসায়নিক সংযোগ স্থাপন করে থাকে।বেঁচে থাকার জন্য হরমোনের প্রয়োজন আছে এবং সুস্থ থাকার জন্য হরমোনের প্রয়োজন আছে।জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হরমোনের গুরুত্ব সীমাহীন।শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। শিশুর শরীরে হরমোন কম থাকলে বুদ্ধিমত্তা কমে যায়।
হরমোনের কাজঃ-
আমাদের দেহে নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে রাসায়নিক সংযোগ স্থাপনের কাজ করে থাকে। দেহের বৃদ্ধি , হজম , রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা , রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ , ঘাম তৈরি এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম বজায় রাখে।
১) হরমোন আমাদের শারীরিক বৃদ্ধি উন্নয়নে কাজ করে।
২) মানুষের তৃষ্ণা ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে হরমোন।
৩) হরমোন শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৪) হরমোন মানুষের মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে ।
৫) হরমোন পাচন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।
৬) হরমোন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
৭) হরমোন হূদযন্ত্রের কার্যক্রম বজায় রাখে ।
৮) রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা চালু এবং বন্ধ করা হরমোনের একটি উল্লেখযোগ্য কাজ।
৯)হরমোনকে রাসায়নিক দূত অথবা রাসায়নিক বার্তাবাহক কেমিক্যাল ম্যাসেঞ্জার বলে।
হরমোনের প্রকারভেদঃ-
|
হরমোন বেশি হলে কি হয়/ Hormone Problems Bangla |
১)অ্যামাইনো এসিড
২) স্টেরয়েড
৩ )প্রোটিন
মানবদেহের সাধারণত পঞ্চাশটি হরমোন থাকে।
১)হরমোন একরকম স্টেরয়েড জৈব রাসায়নিক পদার্থ যা নিশ্চিত স্থান থেকে দূরবর্তী স্থানে সঞ্চিত হয়
ব্যতিক্রম স্থানীয় বা লোকাল হরমোন ।
২)নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া দেহের অন্য কোথাও হরমোন সঞ্চিত হয় না।
৩)হরমোন জীবদেহে রাসায়নিক সমন্বয়কারী অর্থাৎ কেমিক্যাল হিসেবে কাজ করে।
৪) ধারাবাহিকভাবে রক্তে হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি বা কম থাকলে নানা রকম সমস্যা দেখা যায়।
হরমোনের লক্ষণ সমূহঃ-
হরমোন আমাদের শরীরে বেশি উৎপাদন হলেও সমস্যা এবং কম থাকলেও সমস্যা তাই হরমোনের লক্ষণ সমূহ আমাদের জানা গুরুত্বপূর্ণ।
১) অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা করা।
২) চোখে দেখতে সমস্যা হওয়া।
৩) অতিরিক্ত ঘাম হওয়া।
৪) ওজন কমে যাওয়া।
৫)ওজন বেড়ে যাওয়া।
৬) পাতলা পায়খানা হওয়া।
৭) মাথার চুল পড়ে যাওয়া।
৮) বেশি ঘুম পাওয়া।
৯) বেশি বেশি প্রস্রাব হওয়া।
১০ )বেশি ক্ষুধা লাগা।
১১) প্রেসার বেড়ে যাওয়া।
১২) বুক ধড়ফড় করা।
১৩) ছেলেদের মেয়েলি স্বভাব।
১৪) মেয়েদের ছেলে স্বভাব।
১৫) উচ্চতা অনেক কম হওয়া।
১৬) উচ্চতা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া।
১৭) শরীর ফুলে যাওয়া।
১৮) অতিরিক্ত বমি।
১৯) প্রেসার কমে যাওয়া।
২০) হার নরম হয়ে যাওয়া অথবা হাড় ব্যথা।
আপনি যখনই এধরনের লক্ষণ গুলো দেখতে পাবেন অথবা বুঝতে পারবেন আপনি একজন ভাল ডাক্তার দেখাবেন বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক হরমোন বিশেষজ্ঞ রয়েছেন তাদেরকে আমরা এন্ডোক্রাইনোলজি বলি আপনি এই ধরনের লক্ষণ গুলো দেখতে পেলে অবশ্যই ডাক্তারকে দেখাবেন। প্রথমেই যদি আমরা সতর্ক হই এবং হরমোন বিষয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করে তাহলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
|
হরমোন বেশি হলে কি হয়/ Hormone Problems Bangla
|
শরীরে থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে কি হয়ঃ-
শরীরে থাইরয়েড হরমোন কম থাকার লক্ষণ গুলো হচ্ছে। এই রোগীদের ক্ষেত্রে ঘুম বেশি হয়ে থাকে। চুল পড়ে যায়। হাইপোথাইরয়েড হচ্ছে শরীরের একটি হরমোন বা শরীরের নিশিত একটি পদার্থ । যেটি হচ্ছে গলার সামনে যে থাইরয়েড হরমোন গ্রন্থি থাকে নিঃসৃত হয় সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। কিছু ক্ষেত্রে থাইরয়েড রোগীদের দেখা যায় কোষ্ঠকাঠিন্য হয় অথবা পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে।
শিশুদের থাইরয়েড হরমোনঃ-
|
হরমোন বেশি হলে কি হয়/ Hormone Problems Bangla |
শিশুদের শরীরে থাইরয়েড হরমোন কম থাকলে শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সাধারণত 2000 বাচ্চার ভিতরে একটি বাচ্চার হয়ে থাকে. শিশুর জন্ম হওয়ার সাথে সাথে আমাদের উচিত হরমোন টেস্ট করা । শিশুটি যদি থাইরয়েড হরমোন এ আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে সঠিক সময় চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়া সম্ভব । মায়েদের শরীরে থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা থাকলে ওই শিশুটির হরমোন সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই জন্ম হওয়ার পর পরে অবশ্যই হরমোন টেস্ট করে নেওয়া উচিত । শিশুদের শরীরে হরমোনের সমস্যা হলে যে সিমটম গুলো দেখা যায় সেগুলো হলোঃ-
১) হরমোনের সমস্যা হলে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি কম হয়ে থাকে ।
২)হরমোনের সমস্যা হলে শিশুদের দাঁত দেরিতে ওঠে ।
৩) হরমোনের সমস্যা হলে শিশুদের শরীর ফোলা ফোলা ভাব থাকে ।
৪) হরমোনের সমস্যা হলে শিশুরা স্বাভাবিকের তুলনায় অন্যরকম ব্যবহার করে ।
৫) হরমোনের সমস্যা হলে শিশুরা পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে থাকে ।
৬)হরমোনের সমস্যা হলে শিশুরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বদমেজাজি হয়ে থাকে ।
শিশুদের শরীরে এ ধরনের কোন সমস্যা দেখতে পেলে অবশ্যই আমরা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো । সমস্যাগুলো ডাক্তারের সাথে শেয়ার করব এবং হরমোন টেস্ট করিয়ে নিব ।
|
হরমোন বেশি হলে কি হয়/ Hormone Problems Bangla |
হরমোন রোগীদের কি কি খাওয়া যাবেঃ-
থাইরয়েড হচ্ছে মানুষের গলার ভিতরে প্রজাপতির মতো একটি হরমোন গ্রন্থি ।হরমোন রোগীরা যে খাবারগুলো খেতে পারবে সেগুলো হচ্ছে ।
১)লাল চালের ভাতঃ-লাল চালের ভাতে থাকে প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইডেট যা হরমোন রোগীরা খেতে পারবে যা হরমোন সমস্যা মোকাবেলা করতে সাহায্য করে । হরমোন রোগীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় হজম শক্তি কমে যায় তাই লাল চালের ভাত হজমশক্তি বাড়ায় । তাই হরমোন রোগীরা সাদা চালের ভাতের পরিবর্তে লাল চালের ভাত খাবে।
|
হরমোন বেশি হলে কি হয়/ Hormone Problems Bangla |
২)নারকেলের দুধঃ-হরমোন সমস্যা হলে নারকেল অথবা নারকেলের দুধ খেতে পারবে কারণ নারকেলের দুধে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি । নারকেল অথবা নারকেলের দুধ অনেক আগে থেকেই হরমোন রোগীদের জন্য কার্যকরী একটি উপাদান । নারকেল এবং নারকেলের দুধ শরীরের সঠিক মাত্রায় হরমোন তৈরি করে ফলে শরীরে হরমোনের ব্যালেন্স ঠিক থাকে ।
|
হরমোন বেশি হলে কি হয়/ Hormone Problems Bangla |
৩) টক দইঃ-হরমোন রোগীরা প্রতিদিন টক দই খেতে পারবে কারণ তো আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি হরমোন রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ভিটামিন ডি এর অভাবে অন্যান্য রোগের পাশাপাশি থাইরয়েড হরমোন রোগটি বেড়ে যায় তাই হরমোন রোগীদের জন্য তবে অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান । হরমোন সমস্যা যারা ভুগছেন তারা প্রতিদিন 50 গ্রাম টক দই খেতে পারেন এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং হরমোন রোগীদের ঝুঁকি কমাবে ।
|
হরমোন বেশি হলে কি হয়/ Hormone Problems Bangla
|
৪) ডিমঃ-আমরা জানি ডিম ছোট-বড় সকলের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। থাইরয়েডের রোগীরা অবশ্যই ডিম খাবেন। কারণ ডিমের থেকে ভালো বন্ধু থাইরয়েড হরমোন রোগীদের জন্য আর কিছু হতে পারে না। থাইরয়েড রোগীরা ডিম অবশ্যই সিদ্ধ করে খাবেন হরমোন রোগীদের ক্ষেত্রে ডিম ভাজা অথবা অমলেট না খাওয়াই ভালো। ডিমে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে যেগুলো হরমোন রোগীদের শরীরে অনায়াসে যুদ্ধ করতে পারে। হরমোন রোগীদের অবশ্যই প্রতিদিন সেদ্ধ ডিম খাওয়া উচিত এতে হরমোন রোগীদের খুব দ্রুত ঝুঁকি কমবে।
|
হরমোন বেশি হলে কি হয়/ Hormone Problems Bangla
|
৫)মাছঃ-হরমোন রোগীরা যেকোনো ধরনের মাছ খেতে পারবে। তবে ছোট মাছ দেশি মাছ এবং সামুদ্রিক মাছ খাওয়া উচিত। কারণ সামুদ্রিক মাছে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন হরমোন রোগীদের জন্য আয়োডিন খাওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। তাই আমরা প্রতিদিন আয়োডিন যুক্ত মাছ খেতে পারি এতে হরমোন রোগীদের ঝুঁকি কমাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরে থাকা হরমোন রোগের সাথে যুদ্ধ করতে পারবে আয়োডিন যুক্ত মাছ অথবা সামুদ্রিক মাছ ।
|
হরমোন বেশি হলে কি হয়/ Hormone Problems Bangla
|
৬) দুধঃ-হরমোন রোগীরা অবশ্যই দুধ খেতে পারবে। কারণ দুধে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি। আমরা সকলেই জানি ছোট-বড় সবার শরীর বৃদ্ধির জন্য দুধের কোন বিকল্প নেই। শারীরিক সুস্থতার জন্য এক কথায় বলা যায় দুধের কোন বিকল্প বন্ধু নেই । হরমোন রোগীরা প্রতিদিন দুধ খেতে পারবে । হরমোন রোগীদের শরীর কিছুটা দুর্বল হয়ে যায় তাই প্রতিদিন দুধ খাওয়ার ফলে হরমোন রোগীদের খুব দ্রুত ঝুঁকি কমাবে। এছাড়া হরমোন রোগীরা বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজি, ফল , মাছ, মাংস , বাদাম ইত্যাদি খেতে পারবে ।
|
হরমোন বেশি হলে কি হয়/ Hormone Problems Bangla
|
হরমোন রোগীদের কি খাওয়া যাবেনাঃ-
আমরা সবাই জানি খাবার আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস । কিন্তু হরমোন রোগীদের জন্য কিছু খাবার শারীরিক বিপদ ডেকে আনে । তাই হরমোন রোগীদের সুস্থ থাকার জন্য কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে যেমনঃ-
১)বাঁধাকপি , ফুলকপি এবং ব্রকলিঃ-হরমোন সমস্যা হলে বাঁধাকপি , ফুলকপি , এবং ব্রকলি খাওয়া থেকে বিরত থাকেন । নিঃসন্দেহে বাঁধাকপি ও ফুলকপি পুষ্টিকর খাবার । এসব খাবার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । কিন্তু হরমোন সমস্যা রোগীদের ক্ষেত্রে বাঁধাকপি , ফুলকপি এবং ব্রকলি না খাওয়াটাই শরীরের জন্য ভালো । আপনার গোপন হরমোন সমস্যা থাকলে এসব খাবারগুলো খেলে সমস্যা আরও বেড়ে যাবে । হরমোন রোগীদের ক্ষেত্রে এসব খাবার গুলো না খাওয়াটাই উত্তম ।
|
হরমোন বেশি হলে কি হয়/ Hormone Problems Bangla
|
২) সয়াবিনঃ-হরমোন সমস্যা হলে সয়াবিন অবশ্যই এড়িয়ে চলুন । কারণ হরমোন রোগীরা সয়াবিন খেলে তাদের সমস্যা খুব দ্রুত বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । হরমোন রোগীরা সয়াবিন খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে ।
|
হরমোন বেশি হলে কি হয়/ Hormone Problems Bangla |
৩) আটা,ময়দা,ইস্ট এবং বার্লিঃ- আটা, ময়দা , ইস্ট এবং বার্লি হলো গ্লুটেন যুক্ত খাবার। হরমোন রোগীদের ক্ষেত্রে গ্লুটেন যুক্ত খাবার খেলে হরমোনের সমস্যা বেড়ে যায় । তাই অবশ্যই উচিত হরমোন রোগীরা গ্লুটেন যুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকা অথবা না খাওয়া ।
|
হরমোন বেশি হলে কি হয়/ Hormone Problems Bangla
|
৪) চিনিঃ-হরমোন সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিনি বর্জন করুন । কারণ চিনি শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর । হরমোন রোগীদের ক্ষেত্রে চিনি খেলে টাইপ টু ডায়াবেটিস এবং হার্টের রক্তনালী ঝুঁকি বেড়ে যায় । হরমোন রোগে আক্রান্ত রোগীরা চিনি বেশি খেলে এ রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় তাই যথা সম্ভব আমাদেরকে চিনিয়ে এড়িয়ে চলতে হবে সম্ভব হলে একদমই বাদ দিয়ে দিতে হবে । কারণ চিনি খেলে হরমোন রোগীদের ঝুঁকি বেড়ে যায় ।
|
হরমোন বেশি হলে কি হয়/ Hormone Problems Bangla
|
৫) লবণঃ-আমরা সকলেই জানি থাইরয়েড হরমোন সমস্যা আয়োডিনের অভাবে হয়ে থাকে । কিন্তু আমরা জানি না সব ধরনের লবণগুলো আয়োডিন যুক্ত হয় না । হরমোন রোগীরা কাঁচা লবণ একদমই খেতে পারবে না কিন্তু রান্নায় লবণ খেতে পারবে । আমাদের অবশ্যই উচিত লবন কেনার আগে লবন এর প্যাকেটের গায়ে আয়োডিনযুক্ত লেখা আছে কিনা দেখে কেনা কারণ হরমোন রোগীদের ক্ষেত্রে আয়োডিনযুক্ত লবণ খেতে হবে । কিন্তু আয়োডিনযুক্ত হলেও কাঁচা লবণ খাওয়া যাবে না । কারণ কাঁচা লবণ খেলে হরমোন রোগীদের ঝুঁকি বেড়ে যায় ।
|
হরমোন বেশি হলে কি হয়/ Hormone Problems Bangla
|
৬) প্রক্রিয়াজাত খাবারঃ-বর্তমানে বাহিরে প্রক্রিয়াজাত যে খাবারগুলো পাওয়া যাচ্ছে তার ভিতরে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মেশানো থাকে । কেমিকাল যুক্ত খাবার টাইপ টু ডায়াবেটিস এবং হার্টের ঝুঁকি বাড়ায় । হরমোন রোগীদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ড্রিংক, জাঙ্ক ফুড,অবশ্যই খাওয়া যাবেনা । কারন আমরা সবাই জানি বিভিন্ন ধরনের ড্রিংক এবং জাঙ্ক ফুডে প্রচুর পরিমাণে কেমিকেল যুক্ত করা হয় মুখরোচক তৈরি করার জন্য আর এগুলো আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর । তাই হরমোন রোগীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রক্রিয়াজাত খাবার গুলো বর্জন করতে হবে । কারণ এতে হরমোন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় ।
|
হরমোন বেশি হলে কি হয়/ Hormone Problems Bangla
|
হরমোন রোগীদের ওজন কমানোর জন্য ডায়েট চার্টঃ-
Read More>>মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা
হরমোন রোগীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডায়েট চার্ট মেনে চলতে হবে । কারণ এরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খেলে যেকোনো সময় হরমোনের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে ।তাই হরমোন রোগীদের নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া অবশ্যই প্রয়োজন । কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হরমোন রোগীদের ওজন বেড়ে যায় এবং হরমোন রোগীদের ওজন বেড়ে যাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ওজন কমানোর জন্য অবশ্যই হরমোন রোগীদের ডায়েট চার্ট মেনে চলা উচিত।
|
হরমোন বেশি হলে কি হয়/ Hormone Problems Bangla
|
হরমোনের সমস্যার ক্ষেত্রে বেশিদিন অপেক্ষা না করে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ