জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় / Jor Hole Ki Koronio

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় / Jor Hole Ki Koronio

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়/ Jor Hole Ki Koronio

Read More>>ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়

জ্বর আসা একটি সাধারন ব্যাপার। কখনো জ্বর আসে বড় কোন অসুখের একটি সংকেত নিয়ে। যখন ঋতু চেঞ্জ হাই অর্থাৎ গরম থেকে ঠান্ডা অথবা ঠান্ডা থেকে গরম আবহাওয়া তখনই সাধারণত আমাদের শরীরে জ্বর হয়।জ্বর সাধারণত বয়সভেদে হয় না।জ্বর ছোট-বড় সব বয়সী লোকেদের কম বেশী হয়ে থাকে। কেন জ্বর হয় আমরা অনেকেই জানিনা কারণ জ্বর হওয়ার কোনো নির্দিষ্ট কারণ  থাকেনা। আমরা ছোট থেকে জেনে এসেছি বাইরে তাপমাত্রা যতই হোক না কেন আমাদের শরীরের তাপমাত্রা সাধারণত 37 ডিগ্রি সেলসিয়াস বা 98.6 ডিগ্রী  থাকে। সারাদিনের ভিতরে 1° কমতেও পারে অথবা 1° বাড়তে পারে এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। যখন আমাদের শরীরের তাপমাত্রা 38 ডিগ্রি উপরে বেড়ে যায় তখন আমাদের মাথাব্যথাচোখ ব্যথা,  শরীর ব্যথা এমনকি কখনো কখনো বমিও হতে পারে   আর তখনই আমরা জ্বর বলে মনে করি এছাড়া আমাদের বাসায় সবসময় থার্মোমিটার রাখা উচিত থার্মোমিটার দিয়ে আমরা শরীরের তাপমাত্রা চেক করতে পারব এবং জ্বরের পরিমাণ কত বুঝতে পারব। আমাদের শরীরের জ্বর কেন হয় হয়তো আমরা সবাই জানি না আমাদের শরীরের জ্বর হয়ে থাকে মস্তিষ্ক থেকে। 

আমাদের মস্তিষ্কে হাইপোথ্যালামাস নামে একটি অংশ আছে যেটি আমাদের জ্বর হওয়ার জন্য  সাহায্য করে।  জ্বর হওয়া মানে আমাদের শরীরে ক্ষতি নয় উল্টে আমাদের শরীরের লাভ হয়। তবে এখন আমাদের মাঝে প্রশ্ন যে মস্তিষ্ক কেন আমাদের শরীরকে জ্বরে  ভোগায়। কারণ আমাদের শরীরে যখন কোষগুলোকে ভাইরাস অ্যাটাক করে তখন পাইরোজেন নামে একটি  প্রোটিন উৎপন্ন হয় এবং পাইরোজেন আমাদের রক্তের সাথে মিশে আমাদের মস্তিষ্কে পৌঁছে যায় আর আমাদের মস্তিষ্কে উপস্থিত থাকে হাইপোথেলামাস  যেটি আমাদের শরীরের তাপমাত্রা কে বহন করে। তাই মস্তিষ্কে পাইরোজেন প্রোটিন আসার সাথে সাথে হাইপোথেলামাস আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বাড়ানো সিগনাল দেয় যার কারণে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা চেয়ে বেড়ে যায়। আমাদের মস্তিষ্ক শরীরের তাপমাত্রা দুইভাবে বাড়াতে পারে।

১) কাঁপুনির জন্য আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

২)আমাদের শরীরের শিরা উপশিরা সংকীর্ণ হওয়ার জন্য যেখানে গরম রক্ত আমাদের শরীরের সেন্টারে চলে আসে এরপরে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা আমাদের মস্তিষ্কে যতটা সেট করে ততটাই বেড়ে যায়।

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়/ Jor Hole Ki Koronio

Read More>>নাক বন্ধ হলে করনীয়

মস্তিষ্ক আমাদের শরীরের তাপমাত্রাকে কেন বাড়ায়ঃ-

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়/ Jor Hole Ki Koronio


Read More>>চোখের পাপড়ি ঘন করার উপায়

আমাদের শরীরের ভালোর জন্য মস্তিষ্ক আমাদের শরীরের তাপমাত্রাকে বাড়িয়ে দেয় তবে যখন বেশি হয়ে যায় তখন আমরা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগি। আমাদের শরীরে তাপমাত্রা যখন বাড়ে  তখন আমাদের শরীরের মজুদ থাকা জীবাণু গুলো গরমে মারা যায় কারণ এই জীবাণুগুলো বেশি তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না। এজন্য আমাদের শরীরে যখন কোন ভাইরাস  আক্রান্ত হয় তার আগে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এজন্য আমাদের শরীরে যখন জ্বর হয় তখন ডক্টর আমাদেরকে গরম জিনিস খাওয়ার জন্য বলে কারণ ঠান্ডা জিনিস আমাদের শরীরের ভিতর ভাইরাস কে আক্রমণ করতে  অথবা বংশবিস্তার করতে সাহায্য করে। আমরা জানি ঠান্ডা খেলে জ্বর হয় কারণ আমাদের শরীরে যখন আগে থেকে জীবাণু ঢুকে যায় সেটা না বুঝতে পেরে যখন আমরা  ঠান্ডা খাই তখন আমাদের শরীরের ভিতর জীবাণুগুলো বংশবিস্তার করতে শুরু করে এর ফলে আমাদের শরীরের ভিতরের জীবাণু অনেকটাই বেড়ে যায় এবং জ্বর হয়। আমাদের যাদের বার বার জ্বর আসে তাদের বুঝতে হবে শরীর কোন জীবাণুর সাথে বারবার লড়াই করার চেষ্টা করছে। আমাদের ঘন ঘন জ্বর আসলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে কারণ এটি একটি বড় রোগের জানান দিচ্ছে। যেমনঃ

১) টাইফয়েড  ভাইরাস জ্বর। 

২)নিউমোনিয়া  ভাইরাস জ্বর । 

৩)ডেঙ্গু  ভাইরাস জ্বর। 

৪) ম্যালেরিয়া ভাইরাস জ্বর। 

৫)চিকুনগুনিয়া ভাইরাস জ্বর।


খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় জ্বর হওয়া ব্যক্তির কাছে আমরা যখন থাকি তখন সেই ব্যক্তির বেশিরভাগ সময় জ্বর আসে। একজন ব্যক্তির জ্বর হয় তখন তার শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে জীবাণুগুলো ভেসে বেড়ায় এবং তার পাশে  সব সময় যে লোকটি থাকে তার শ্বাস প্রশ্বাস এর সাহায্যে ওই জীবাণুগুলো তার শরীরের ভিতরে যায় যার ফলে তার জ্বর হয়। এজন্য ডক্টর সবসময় বলে থাকে যে ব্যক্তির জ্বর হয়েছে তার কাছ থেকে যেন দূরে থাকা হয় এবং সবসময় যেন হাত হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ধুয়ে অথবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা হয়।

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়ঃ-

ভিটামিন সিঃ-ঠান্ডা জনিত সমস্যার থেকে বাঁচার জন্য ভিটামিন সি যুক্ত খাবার এর কোন তুলনা নেই। আমরা জানি  লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। তাছাড়া রয়েছে মালটা, আমলকি, কমলা, আঙুর ইত্যাদি। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার আমাদের প্রতিনিয়ত খাওয়া উচিত কারণ এটা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী তাই আমাদের নিয়মিত ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে। 

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়/ Jor Hole Ki Koronio

Read More>>চোখের লাল কমানোর ঘরোয়া উপায়

আদাঃ-ঠান্ডা জনিত জ্বর সর্দি কাশির জন্য আদা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায় ।আদা শরীরের জন্য একটি উপকারী উপাদান । আমরা একটি পাত্রে 2 কাপ পরিমাণ পানি নেব পরিমাণমতো আদার রস নিব এবং এটিকে ভালো করে ফুটিয়ে এককাপ সমপরিমাণ বানাতে হবে তারপর এটিকে গরম গরম  পান করতে হবে তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যাবে আমাদের শরীরে আরাম বোধ হচ্ছে। 

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়/ Jor Hole Ki Koronio


Read More>>মুখের তৈলাক্ততা দূর করার উপায়

মধুঃ-ঠান্ডা জনিত সমস্যায় জ্বর সর্দি কাশির জন্য মধু  ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। কারন মধু আমাদের শরীরকে গরম করতে সাহায্য করে।কুসুম গরম পানিতে আমরা মধু মিশিয়ে পান করতে পারি। 

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়/ Jor Hole Ki Koronio

Read More>>কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা

কালোজিরাঃ- আমরা কমবেশি সবাই জানি কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ঔষধ ।আমরা কালোজিরা খালি খেতে না পারলে কালোজিরার সাথে মধু মিক্স করে খেতে পারি এতে করে আমাদের শরীরের জন্য ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়/ Jor Hole Ki Koronio

Read More>>চোখ উঠলে করণীয়

তুলসী পাতাঃ-তুলসী পাতার রস আমরা গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে পারি এটি জ্বর সর্দি কাশির জন্য ভালো কাজ করে। শিশু এবং বড়দের সকলের ক্ষেত্রে একটি উপকারী উপাদান হলো তুলসী পাতার রস। তাছাড়া তুলসী পাতার রস যদি আমরা খালি খেতে না পারি তাহলে এর সাথে মধু মিক্স করে নেব ।

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়/ Jor Hole Ki Koronio

Read More>>হাঁটু ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

দইঃ-আমরা জ্বর সর্দি কাশি হলে টক দই অথবা মিষ্টি দই খেতে পারি।  দই এ আছে ক্যালসিয়াম এবং  ভিটামিন ডি,  প্রোটিন। দই আমাদের খাদ্যগুলোকে হজম করতে সাহায্য করে। প্রোটিন আমাদের শরীরে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যেটি আমরা দই থেকে  পাই।জ্বর হলে আমাদের রুচি কমে যায় একটি বড় ছোট সবার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে যার ফলে আমরা  দুর্বল হয়ে যায়। দুর্বলতা কাটানোর জন্য দই খেলে আমাদের শরীরের অনেক উপকার হবে ।দই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায়। 

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়/ Jor Hole Ki Koronio

Read More>>ভ্রু ঘন করার উপায়

রসুনঃ-আমরা জানি  রসুন একটি মসলা জাতীয় উপাদান। রসুন রান্না করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্য একটি ভাল উপকারী উপাদান। রসুন হল একটি প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক। জ্বর কমাতে  রসুন আমাদের  শরীরের  এন্টিবায়োটিকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যার ফলে জ্বর ,সর্দি কাশি থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়। 
এটি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রসুনের কোষগুলো আমরা চিবিয়ে খাব না গিলে খাব। ঠান্ডা জ্বরের জন্য রোশন একটি মহা ঔষধ তাই রোশন আমরা প্রতিনিয়তই সেবন করব। 

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়/ Jor Hole Ki Koronio

Read More>>চোখের নিচের কালো দাগ সারানোর উপায়

হলুদঃ-আমরা জানি হলুদ আমাদের রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু হলুদ এন্টিবায়োটিকের কাজ করে আমাদের শরীরে। হলুদ রান্না এবং রূপ চর্চার পাশাপাশি আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। হলুদে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের  ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। হলুদ প্রতিদিন নিয়মিত খেলে ঠান্ডা জনিত  জ্বরের পাশাপাশি হৃদ রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। এছাড়া ডায়াবেটিস, ফ্যাটি  লিভার, ক্যান্সার সহ বিভিন্ন  জটিল রোগ থেকে মুক্তি দেয়। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে আমরা কাঁচা হলুদ খেতে পারি এতে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে। 

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়/ Jor Hole Ki Koronio

জলপাইঃ-আমরা জানি জলপাই একটি টক জাতীয় ফল এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। জলপাই থেকে যে তেল তৈরি হয় তাকে আমরা অলিভওয়েল বলি। অলিভ অয়েল খেলে শরীরের  কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণে  থাকে। জলপাই আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি , ভিটামিন এ এবং উচ্চমাত্রায় এন্টিমাইক্রোবিয়াল আছে এটি মানবদেহের ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে।

এছাড়া রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে গুণ বাড়িয়ে দেয়। জলপাই তেলে কোন ফ্যাট থাকে  না। ব্যথা জায়গায় জলপাই তেল দিয়ে মালিশ করলে ব্যথা দূর হয়।জলপাই খেলে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের শরীরের যে ঠান্ডা জ্বর কাশি হয়ে থাকে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।


জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়/ Jor Hole Ki Koronio

জলপট্টিঃ-আমরা সকলেই কম বেশি জানি  জলপট্টি দিলে খুব দ্রুত জ্বর কমে যায়। জলপট্টি দেওয়াটা খুবই সহজ একটি পাত্রে কুসুম গরম পানি নিয়ে সুতির কাপড় ভিজিয়ে ভালো করে চেপে পানি ঝরিয়ে কপালে লাগাতে হবে এবং বার বার একই উপায় জলপট্টি দিতে হবে এতে করে দেখা যায় খুব দ্রুত জ্বর কমে যাবে। 


জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়/ Jor Hole Ki Koronio

গরম পানিতে গোসলঃ-জ্বর অতিমাত্রায় বেড়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা যাবে না কারণ এতে ক্ষতিকর কিছু হতে পারে যেমন খিচুনি। জ্বর হলে আমরা কুসুম গরম পানিতে গোসল করব এতে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাবে তবে বেশিক্ষণ গোসল করা যাবে না। 


জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়/ Jor Hole Ki Koronio

মরিচঃ-আমরা জানি জ্বরের সময় ভিটামিন সি খাওয়া উচিত আর কাঁচা মরিচে  ভিটামিন সি এবং শুকনা মরিচের ভিটামিন এ থাকে। জ্বর কমানোর ক্ষেত্রে মরিচের ব্যবহার অপরিসীম কারণ ঝাল খেলে আমাদের শরীর থেকে ঘাম বের হয়।যার ফলে আমাদের শরীরে দ্রুত জ্বর কমে যায়। 


জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়/ Jor Hole Ki Koronio

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ